বিশেষ প্রতিনিধি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে আরেক দফা সস্তা হবে তামাকপণ্য। কারণ, নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্যের দাম কম বেড়েছে। এতে তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু বাড়বে। তামাক কোম্পানি লাভবান হবে এবং সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় পাবে না। তাই চূড়ান্ত বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদসহ তামাকবিরোধী নেতারা।সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাকক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) আয়োজিত তামাক করবিষয়ক বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্তরভেদে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অথচ এক বছরের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা হয়ে পড়বে। এতে মানুষ তামাক ব্যবহারে উৎসাহিত হবে।তামাকবিরোধীদের দাবি, নিম্নস্তরের সিগারেটে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সুনির্দিষ্ট আকারে আরোপ করা হলে সরকার কমপক্ষে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় পেত। সম্পূরক শুল্ক ৫৮ শতাংশ নির্ধারণ করায় কোম্পানিগুলো শুধু নিম্নস্তরের সিগারেট থেকেই ৪৮৬ কোটি টাকা বাড়তি আয় করবে।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর।